স্টাফ রিপোর্টার।। ভোলা প্রকাশ।।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্ত্রী নিয়ে ভোলা শহরের বকপাড় এলাকায় ঘুরতে গিয়ে বখাটেদের ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং তাঁরা ছাত্র। ঘটনার পর থেকে আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার এক প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানান।
এর আগে এ ঘটনায় আজ সকালে ভোলা সদর মডেল থানায় ওই পুলিশ সদস্যর স্ত্রী উর্মি আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যাঁর মামলা নম্বর-৪১।
গ্রেফতারকৃত ৫ আসামি হলেন- মো. ইব্রাহিম (১৬), রাজিব (১৬), মো. রাকিব হোসেন (২১), তারেক পাঠান (১৯) ও তোহান আহম্মেদ (২৩)। এদের মধ্যে ইব্রাহিম ও তারেক ছাত্র। তাঁরা দুজন ভোলা টাউন কমিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
প্রেস রিলিজে বলা হয়, ঘটনার সময় ঘটনার মূল হোতা ইব্রাহিম উর্মি আক্তারকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তাকে উদ্দেশে করে উচ্চস্বরে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। তখন উর্মির স্বামী পুলিশ কনস্টেবল এনামুল হক বখাটেদের এমন আচরণের প্রতিবাদ জানালে ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর তর্কবিতর্ক বাঁধে। একপর্যায়ে এ তর্কবিতর্ক হাতাহাতিতে রুপ নেয়। তখন ইব্রাহিমের সঙ্গে রাজিব ও তারেক যুক্ত হয়। তখন এনামুল হক নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিলে বখাটেরা তাকে উদ্দেশ করে বলে, “পুলিশ হইছোস তো কি হইছে”। এ কথা বলেই তাঁরা এনামুলকে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে এনামুল হকের শরীরের ৬ জায়গা ক্ষতবিক্ষত হয়। শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়৷
প্রেস রিলিজে আরো বলা হয়, রাজিবের কাছেই ছুরিটি ছিল। রাজিব ছুরিটি দিয়ে এনামুলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী উর্মি আক্তারের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে বখাটেরা হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেছে বলেও জানানো হয়। তবে পুলিশ রাজিবের বাড়ি তল্লাশি করে একটি লোহার রড ও একটি সিজার ব্লেড উদ্ধার করেছে।
অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রেস রিলিজে আরো জানানো হয়। আজ সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে তোলা হবে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।