ইসরাফিল নাঈম, চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার চরফ্যাসনে বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারার বিরোধ নিয়ে মৃত বাবার লাশ দাফনে বাধা দিলেন সন্তনরা। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর-আফজাল গ্রামে সকাল সাড়ে ৮ টায় রত্তন তফাদার (৭০) নামের ওই ব্যক্তি বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারনে মারা যান। বাবার মৃত্যুর পরই সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একাধিক স্ত্রীর ঘরের সন্তানদের মধ্যে বিপত্তি বাধে। জমির ভাগ নিয়ে বিপত্তিতে বাবা সকালে মারা গেলেও লাশ দাফনে বাধা দেন প্রথম পক্ষের সন্তানেরা। পরে দিন গড়িয়ে রাত হলেও লাশ দাফন হয়নি। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত স্থানীয়দের মাধ্যমে সমোঝতায় লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানাগেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, নিহত রত্তন তফাদার একাধিক বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানদের কাছে বসবাস করতেন। মৃত্যু আগে তিনি প্রথম স্ত্রীর ঘরের সন্তানদের কাছে কিছু জমি বিক্রি করেন। এবং ওয়ারিশি ভাগও বুঝিয়ে দেননি প্রথম পক্ষের সন্তানদের। মৃত্যুর আগে তিনি সন্তানদের কাছে বিক্রিত জমির দলিল সম্পদন করে না দিয়ে তিনি তার সম্পত্তি দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরের সন্তানদের বুঝিয়ে দেন। তার মৃত্যুর খবরে সম্পত্তি বুঝে নিতে ছুটে আসেন প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা। সৎ ভাইদের কাছ থেকে বাবার কাছ থেকে কেনা সম্পত্তি ও ওয়ারিশি সম্পত্তি বুঝে নিতে মেয়ে পিয়ারা বেগম ও ছেলে সামছল হকের ছেলে মেয়েরা লাশ দাফনে বাধা দেন। দিন গড়িয়ে রাত হলেও উঠানেই পরেছিলো বাবার লাশ। পরে স্থানীয়দের সমোঝতায় রাত ৮ টায় ওই ব্যক্তির লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত লাশ দাফনের কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে।
চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হারুন কিবরিয়া জানান, নিহত ওই ব্যক্তি একাধিক বিয়ে করেছেন। তার ঘরে ১৫ সন্তান আছে। তার মৃত্যুর আগে তিনি তার সম্পত্তি ১১ সন্তানকে তার সব সম্পত্তি লিখে দেন। এবং কিছু জমি তিনি প্রথম পক্ষের সন্তানদের কাছে বিক্রি করে দলিল না দিয়েই মারা যান। অপর ৪ সন্তান কেনা জমি ও বাবার ওয়ারিশি জমি বুঝে পেতে বাবার লাশ দফনে বাধা দেন। বিষয়টি সমোঝতার করা হয়েছে।
লাশ দাফনে বাধা দেয়া সন্তান পিয়ারা বেগমের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানাযায়নি।
চরফ্যাসন থানার ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ইসরাফিল নাঈম
চরফ্যাসন ভোলা প্রতিনিধি
০১৭৭৯-৯৬৭১৭৯