ভোলা প্রতিনিধি ভোলা প্রকাশঃ
ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মধ্য জয়নগর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বিউটি বেগমদের সাথে স্থানীয় বাসিন্দা মোখলেস সাজি গংদের দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ জমি জমা বিরোধকে কেন্দ্র করে মোখলেস সাজি গংরা কিছুদিন পর পর ডিউটি বেগম এর পরিবারের নারী সদস্যদের কে বেধড়ক মারধর করে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (২০ নভেম্বর) এ হামলা ও মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী বিউটি বেগমের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিউটি বেগম বলেন, দীর্ঘদীন ধরে আমাদের সাথে মোখলেছ সাজি গংদের সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। আমাদের ৪০ বছর আগে ক্রয়কৃত জমি, যা দৌলতখা জে, এল, ২৫ নং মৌজে জয়নগর ১/S.A ১৩৮ নং জমি ১০ শতাংশ দাগ নং ১৪২৪ নং দাগ ভুক্ত ২/S.A.১১৪৩ নং জমি ৬ শতাংশ (২ নং পৃষ্ঠার হাসিয়া) দাগ নং ১৪৫২ অপর ১টি দাগ আছে ১-২ নং নথিতে মোট বিক্রীত জমি ১৬ শতাংশ গ্রহিতা ১জন দাতা ১জন গ্রহিতা। মোজাম্মেল হক পিতা মৃত সেকান্দর আলী। এই জমি ১৪ বছর ধরে জোর পূর্বক দখল করে আসছে মোখলেছ গংরা। এই নিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা কয়েক বার সালিশ বৈঠক করেছে। একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও সালিশির রায় না মেনে তারা পূর্বের মতো জোরজবস্তি করে আমাদের জমি দখল করে আছে এবং প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হুমকি দামকি দেয় এবং মারধর করতে আসে। গত ৭/১১/২০২২ইং তারিখে আমাকে বাসায় একা পেয়ে মোখলেছ সাজির নেতৃত্বে ১। মোঃ এমদাদ, ২। মো: সাইমুন, ৩। মো: হাবিব, ৪। মোসাঃ রেহানা, ৫। মোসা: বিলকিস, ৬। মোসা: সাহানাজ, সহ আরো ১৫-২০ জন একত্রিত হয়ে আমার উপর হামলা করে, আমাকে বেদরক ভাবে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার দাগ চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসলে তারা চলে যায়। এই ঘটনায় ভোলা জর্জ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং ১৮৪/২২ সেই মামলায় বিজ্ঞ আদালত এ মামলার আসামি হারেস, ভুট্টু ও হুমায়ুন কবির এ ৩ (তিন) জন আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করেন। ঐ ক্ষোভে গত ১৮/১১/২০২২ইং তারিখ রোজ শুক্রবার আমাদের বাড়ীর সকল পুরুষ সদস্যরা জুম্মার নামাজ পড়তে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওত পেতে থাকা ভাড়া করা লোকজন নিয়ে আমাদের বসত ঘরে হামলা ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়।
এমতাবস্থায় আমরা বাধা দিতে গেলে আমাকে এবং শাশুরী পারুল বেগম ও আমার দেবড়ের বউ তানিয়া বেগম এবং তার মেয়ে সানজিদা কে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদরক মারধর করে। মারধরের এক পর্যায় আমরা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আমাদের কে স্থানিয়রা এসে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আমরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
কারাগারে থাকা আসামিরা জামিনে বের হয়ে আমাদেরকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। সাংবাদিক ভাইরা আপনারা স-শরীরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তা বিস্তারীত জেনে তা সমাজের কাছে তুলে ধরার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি। আমি সংবাদিকর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।