স্টাফ রিপোর্টারঃ
তিনি একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার! দীর্ঘদীন ধরে দায়িত্বরত ছিলেন ভোলার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হয়ে । বেশ সপ্ন নিয়ে বাসা বেধে ছিলেন ভোলার মানুষের মনে, ভোলার মানুষের একমাত্র বন্ধু হয়ে অপরাধ মুক্ত জেলা হিসেবে সাজাতে চেয়েছিলেন এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ,ভেলুমিয়ার অজ্ঞাত জয়তুন হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং খুনিদের মাত্র ৭২ ঘন্টায় গ্রেফতার এর নেতৃত্বে ছিলেন এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, , টিটু হত্যা,ওবায়দুল হত্যার রহস্য উদঘাটন,পুলিশ কে কুপিয়ে জখম এর কারন অনুসন্ধান এবং মাদক মুক্ত ভোলা সহ যানযট,ইভটিজিং, এবং শিশু মৃত্যু রোধে ব্যাপক ভুমিকা পালন করেছিলেন ফরহাদ সরদার,
গত ২৭/ ১০ / ২২ তারিখে উত্তম দাসের মরদেহ তার গ্রামে আনা হয় এবং শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
২০২২ সালে জুলাই মাসের ১১ তারিখে সৌদি আরব সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় উত্তম দাস। মারা যাওয়ার পর দীর্ঘ ৩ মাস ধরে বেয়ারিশ লাশ হিসাবে তাকে রাখা হয় সৌদির একটি হাসপাতালের হিমাগারে। পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম এর নির্দেশনায় ও সৌদি আরবে বাংলাদেশি দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি মোহসীন আল ফারুকের সার্বিক সহযোগিতায় ৩ মাস পর তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর ও প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় হতে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ সরদার।
তবে সপ্ন যেখানে ছিলো আকাশ সমান, সেই সপ্ন পুরন না করেই বদলিতে চলে যাচ্ছেন বরিশালের বাকেরগঞ্জে, ভোলার মানুষের আস্থাশীল এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর একমাত্র সপ্ন ছিলো মানুষের মন জয় করে ভোলাকে এক অপরাধ মুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন, বিট পুলিশিং,ওপেন হাউজ ডে ছিলো তার নিত্য দিনের সঙ্গী, তৃনমুল পর্যায়ে গিয়ে খুজতে থাকতেন সাধারণ মানুষের সমস্যা গুলো, । পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম এর নির্দেশে ভোলাকে সিসিটিভির আওতা ভুক্ত করে অপরাধ প্রভনতা কমিয়ে অনেকটাই সপ্ন পুরন হতে যাচ্ছিলো তার, নিখোঁজ হওয়া মানুষদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর, আর সড়ক দুর্ঘটনায় এরাতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করে মানবিক ফরহাদ হিসেবেও খ্যাত হয়েছিলেন এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর হাসপাতালের দালাল চক্র নির্মুল ,আর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন যেনো ছিলো তার সবচেয়ে প্রিয়, তাইতো বিএনপির সমাবেশে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলার পর দুষ্কৃতীদের সনাক্তের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সফল ও হয়েছিলেন তিনি, আর অজ্ঞাত জয়তুন হত্যার ৭২ ঘন্টায় রহস্য উদঘাটন এবং খুনিদের গ্রেফতার ছিলো ভোলার ইতিহাসে এই প্রথম ।। তাইতো সদর সার্কেল অফিস যেনো সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান এর একমাত্র বাহন ছিলো। নীজ কর্মের সুফল হিসেবে বরিশাল রেঞ্জের শ্রেষ্ট সার্কেল এসপির সিকৃতি ও পেয়েছিলেন তিনি।