শিরোনাম
সা’দপন্থীদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিতে ভোলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা  আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম গোল্ডকাপ নাইট শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করলেন মাফরুজা সুলতানা ভোলায় বাবা-ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ কোস্টগার্ডের হাতে আটক যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০২৪ পালিত বোরহানউদ্দিনে অসহায়-দুস্থদের ঘরে কম্বল পৌছে দিলেন বিএনপির আহবায়ক মাফরোজা সুলতানা আন্দালিব রহমান পার্থ’র নেতৃত্বে আগামীর ভোলা হবে উন্নয়নের নগরী- বিজেপি দেশের কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায় ও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কৃষক দলের সৃষ্টি:মাফরুজা সুলতানা  বোরহানউদ্দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভোলায় ইটভাটা মালিক সমিতির কমিটি গঠন রাইসুল সভাপতি ও কায়েদ সম্পাদক  তজুমদ্দিনে যথাযােগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে

শেখ রাসেলকে নিয়ে ভোলার ছেলে শাফায়াত হোসেন সিয়ামের লেখা!

NEWS ROOM / ৮৫ বার ভিউ
আপডেট : রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২

  1. শেখ রাসেলকে নিয়ে ভোলার ছেলে শাফায়াত হোসেন সিয়ামের লেখা!

কি দোষ ছিল শেখ রাসেলের?

মোঃ শাফায়াত হোসেন (সিয়াম)।।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করে। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে শেখ রাসেল ছিল সবার ছোট। তার স্বপ্নীল চোখ দুটি ছিল মায়া ভরা। পরিবারের সবাই তাকে আদর করতেন। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত শেখ রাসেল। মাত্র ১০ বছর বয়সের সুন্দর ফুটফুটে প্রানবন্ত ছেলে রাসেল। কিভাবে মানুষ তাকে খুন করতে পারে? ঘাতকেরা এই প্রজাতির মতো শিশুটিকে ও প্রানে বাচতে দেয়নি। কি দোষ ছিল শেখ রাসেলের?

 

সেই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের ভয়াল কালোরাত, পবিত্র শুক্রবার। রাতের নিস্তব্ধ নিরবতা ভঙ্গ করে মসজিদে মসজিদে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে পথভ্রষ্ট কিছু সংখ্যক সামরিক আমলা ও ক্ষমতালোভী দেশ বিরোধীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের ঐতিহাসিক বাড়িতে এক কুখ্যাত হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার পরিজনকে হত্যা করে, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়। ঘাতকরা সেদিন ১০ বছরের ছোট শিশু শেখ রাসেলকেও বাচতে দেয়নি।

শেখ রাসেলকে হত্যা করার পূর্বে শিশু রাসেল আতঙ্কিত হয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেছিল, “আমি মায়ের কাছে যাবো, আমি মায়ের কাছে যাবো, আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাও”। পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কন্ঠে মিনতি করেছিলো, “আমাকে হাসু (শেখ হাসিনা) আপার কাছে পাঠিয়ে দিন। “শেখ রাসেলকে ঘাতকরা হত্যা করার সময় শেখ রাসেল আরো বলেছিলো,” আমাকে মেরো না, আমি ছোট, আমি কোনো অপরাধ করিনি”।

কিন্তু সেই ঘাতকরা এই নিরপরাধ শিশুটিকে হত্যা করলো। কিভাবে পারলো তারা এই ছোট শিশুটিকে হত্যা করতে? ঘাতকের বুলেট স্তব্ধ করে দিয়েছে তার দুরন্ত পথচলা, মুখফোটা হাসি। কিন্তু কি দোষ ছিল ১০ বছরের ছোট শিশু শেখ রাসেলের? বড় হওয়ার কতই না স্বপ্ন ছিলো শিশু শেখ রাসেলের; কিন্তু সব কিছুই স্তব্ধ হয়ে যায় মানবরূপি দানবের হাতে। শেখ রাসেল চিরকালের শিশু হয়ে এদেশের সব শিশুদের মাঝে বেচে আছে।

লেখক:
মোঃ শাফায়াত হোসেন (সিয়াম)
সভাপতি, এনসিটিএফ, ভোলা জেলা।
বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (অধ্যয়নরত), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল: ০১৬৪৮৫৮৯৩৫৮


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ

ক্যাটাগরি