মোঃ ছাইফুল ইসলাম জিহাদ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভোলার লালমোহন উপজেলার কৃষকলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মারপিটের অভিযোগ করলেন জনৈক পুলিশ সদস্য।
জানাযায়, শনিবার সন্ধ্যায় লালমোহন পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডে উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোখলেছ বকশির বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তাটির পাকা করণ কাজ চলছে। রাস্তার পাশে গাছ থাকায় ঠিকাদার গাছ কাটার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। কৃষক লীগের সভাপতি মোখলেছ বকসি জানান, ঠিকাদারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রথমে আমার গাছটি কেটে ফেলি। এরপর পর্যায়ক্রমে সবাইকে গাছ কাটতে বলি। ওই এলাকায় রাস্তার পাশের খাস জমি দখল করে বাড়ির বাউন্ডারি দেন মোঃ আলমগীর নামে এক পুলিশ সদস্য। তার দখল করা খাস জমিতে ৩টি গাছ রাস্তার মধ্যে পড়ে। তিনি দুটি গাছ কাটলেও ১টি গাছ কাটতে রাজি হননি। এলাকাবাসী ও আমি তাকে অনুরোধ করলে তিনি সকলকে অকর্থ ভাষায় গালি গালাজ করেন। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়লে পুলিশ সদস্য আলমগীর বাসায় গিয়ে ৯৯৯ ফোন করে লালমোহন থানা পুলিশের সহযোগিতা চান। তার ফোন পেয়ে লালমোহন থানা থেকে এ.এস.আই দীপক সঙ্গীয় ফোস সহ ঘটনাস্থলে যায়। এ এস.আই আমার পরিচিত হওয়ায়, আমি সকলের সামনে তার হাত ধরে বাসায় চা খাওয়ার জন্য বলি। এতে হয়তো
এ এস.আই দীপক আমার উপড়ে ক্ষুব্ধ হন। আমি উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি কু-চক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে সংবাদ কর্মীদের ভূল বুঝিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
এব্যাপারে পুলিশ সদস্য মোঃ আলমগীর বলেন, আমার বাসার সামনে রাস্তার পাশে ৩টি গাছের ২টি গাছ কেটেছি। ঠিকাদার বলছে বাকি ১টি গাছ প্রয়োজন হলে কাটব। কিন্তু মোখলেস বকসী এলাকার লোকজন নিয়ে বলল বাকি গাছটি এখনই কাটতে হবে। এ নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। আমি এলাকায় সকলের সাথে নিয়ে এর উপযুক্ত সমাধান চাচ্ছি।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, এব্যাপারে কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।