মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলাঃ
ভোলায় প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার প্রস্তুতিতে শতভাগ নিশ্চিয়তায় বিসিএস ফাউন্ডেশন এবার চাকরি প্রার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।প্রতিষ্ঠানটি চাকরি প্রার্থী শিক্ষার্থীদের সাফল্য লাভে বিভিন্ন উদ্যোগ ও হাতে নিয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় ১৪ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় ভোলা শহরের মাসুমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
ক্যাম্পাসে প্রাইমারী চাকরী পাওয়ার বিভিন্ন কৌশল ও প্রস্তুতি সম্পর্কে ফ্রি সেমিনার এবং নতুন ব্যাচের ওরিয়েন্টিশন ক্লাস আয়োজন করে বিসিএস ফাউন্ডেশন।সেমিনারে চাকরী প্রত্যাশী প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।
মাসুমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম মিলনের সভাপতিত্বে ফ্রি সেমিনার ও ওরিয়েন্টিশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস ফাউন্ডেশনের পরিচালক ভোলা সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের প্রভাষক এম এ হালিম। স্বাগত বক্তব্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি একটি চাকরির আর সেই স্বপ্ন বাস্তবে বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সাধারণ জ্ঞান থেকে শুরূ করে প্রতিটি বিষয়ে মনযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন,আমরা বলিনা আমরাই সেরা তবে যত্ন নেই সবার চাইতে বেশি।এম এ হালিম বলেন,প্রাথমিক সহকারি
শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা ২০২৩ এ সফল হতে হলে পূর্বের প্রশ্ন অবশ্যই তোমাদের বিশ্লেষণ করে ধারাবাহিকভাবে পড়তে হবে এবং ইংরেজি,গণিত,বাংলা,বিজ্ঞান সহ প্রতিটি বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে।
এসময় এম এ হালিম বিসিএস ফাউন্ডেশন এর সফলতার গল্প তুলে ধরেন শিক্ষার্থীদের মাঝে তিনি বলেন,ভোলায় আমাদের কোচিং এর পূর্বে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না,আমাদের শিক্ষার্থীদের বরিশাল কিংবা ঢাকা গিয়ে কোচিং করতে হত যার কারনে মেধাবি অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের এটা সহজ ছিল না এতে তারা সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে কারন কোন প্রকার গাইডলাইন ব্যতীত সাফল্য সম্ভব নয় যা আমাদের ক্ষেত্রে ও সম্ভব ছিল না।
তিনি বলেন,আমি ভোলার মানুষের কথা চিন্তা করে ২০১৮ সালে বিসিএস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করি সেই থেকে এখনো চলছে,২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিসিএস ফাউন্ডেশন এর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরিক্ষায় ৪২ জন,নিবন্ধন এমপিও ভুক্ত প্রায় ৫০ জন,ব্যাংকে ৩ জন,এলজিইডিতে ২ জন,কর্মসংস্থান ব্যাংকে ৩ জন,একটি বাড়ি একটি খামারে ৩ জন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর চাকরি হয়েছে।
এ সফলতার পেছনে রয়েছে পাঠদানের এক অভিনব কৌশল। বিসিএস ফাউন্ডেশনে সপ্তাহে ৩ দিন ক্লাস এবং বাকি ৩ দিন ইংরেজি ও গনিত বিষয়ে জম্পেশ গ্রুপ ডিসকাশন হয়ে থাকে।
সাপ্তাহিক ৪ টি ক্লাস টেস্ট এবং ২ টি মডেল টেস্ট পরিক্ষা নেওয়া হয়। এছাড়া গণিত ও ইংরেজি দূর্বলদের জন্য বিশেষ ক্লাস। যার ফলে একজন মধ্যম মানের শিক্ষার্থীও স্বল্প সময়ের মধ্যে গণিত ও ইংরেজির ভীতি কাটিয়ে হয়ে উঠে একজন আত্মবিশ্বাসী জব ক্যান্ডিডেট এবং নিশ্চিত করতে পারে তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
তিনি জানান,বর্তমানে বিসিএস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিসিএস,পিএসসি,নন ক্যাডার,এনটিআরসিএ, প্রাইমারি,ব্যাংক,সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রস্তুতি নিতে শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।যা ভোলায় জব কোচিং সেন্টার থেকে সর্বোচ্চ ধাপ অতিক্রম করেছে।
তিনি আরো বলেন,বিসিএস ফাউন্ডেশনের আয়কৃত অর্থের মাধ্যমে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাঠদান,চিকিৎসা সেবা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যয় হয়।
বর্তমানে এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তজুমদ্দিন উপজেলায় একটি মসজিদ নির্মাণ চলমান রয়েছে বলে ও জানান তিনি।এদিকে বিসিএস ফাউন্ডেশনের আয়ের অর্থ দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে এক গরীব-অসহায় শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন বলে ও জানান তিনি।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,ভোলা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এ কে এম হাসান উল্যাহ মিঠু,বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন,মোঃ মনির হোসেন,সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন,ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মোঃ মহিউদ্দিন মৃধা,জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মোঃ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।