আশিকুর রহমান শান্ত, ভোলা প্রতিনিধি :
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দীর্ঘদিনের কুক্ষিগত শাসন ব্যবস্থা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসে। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন পর ভোলা জেলা সদরের প্রধান সড়কে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশাল সভা ও শোকরিয়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে স্বৈরশাসন পতনে আল্লাহ’র শোকরিয়া আদায় করা হয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় শহরের কে-জাহান মার্কেট এর সামনে সদর রোড জুড়ে জামায়াতে ইসলামীর এ শোকরিয়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শোকরিয়া সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাস্টার জাকির হোসাইন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য জামায়াতে ইসলামীর ভোলা জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হারুন-অর-রশিদ, সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা কামাল হোসেন, ভোলা জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি আহম্মেদ হোসাইন, জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জসিম উদ্দীন, জামায়াতে ইসলামী ভোলা পৌর শাখার সেক্রেটারি রুহুল আমিন, জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা আব্দুল গাফফার, ব্যবসায়ী নেতা রফিকুল হাসান সহ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে গিয়ে সরকার নিজেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। স্বৈরাচারী সরকারের পতনে দেশজুড়ে উৎসব বিরাজ করছে। মানুষ আনন্দে রাস্তায় নেমে এসেছে। সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। বক্তারা আরো বলেন, এই বিজয় ছাত্রজনতার। ছাত্রজনতা এগিয়ে আসায় স্বৈরাচারী সরকারের পতন সম্ভব হয়েছে। দেশ অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। ছাত্রজনতার রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল বলেই আমরা এই বিজয় পেয়েছি। শহীদদের আত্মত্যাগ ভুলা যাবে না। এই বিজয়ে আমরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। এছাড়া বিজয়ের পর বিজয়ের আনন্দকে ধরে রাখতে কারোর উপর কোনো প্রতিশোধ না নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়। এই বিজয়কে যাতে কোন দুষ্কৃতিকারী প্রশ্নবিদ্ধ না করতে পারে সেজন্য সংখ্যালঘু সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও ধর্মীয় উপাসনা গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জামাত শিবিরের সকল শ্রেণীর নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করেন নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে সদর উপজেলা, পৌরসভা ও ছাত্র-শিবিরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।