শরীয়তপুর প্রতিনিধি, খোরশেদ আলম বাবুল
আজ দক্ষিণাঞ্চালরে মানুষের প্রানের দাবী পদ্মাসেতুর শুভ উদ্বোধন করেবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ৬.১৫ কিলোমিটার এই সেতুর মাধ্যমে পদ্মার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মধ্যে অবিচ্ছিন্ন সেতুবন্ধন স্থায়ী হবে। কমে যাবে দূরত্ব, বাঁচবে সময় ও অর্থ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সমাবেশস্থল ঘিরে বহুস্তরে নিরাপত্তা বেষ্টুনি নিশ্চিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শরীয়তপুরের নাওডোবায় পদ্মাসেতুর টোলপ্লাজা এলাকা সেজেছে নতুন সাজে। মাদারীপুরের কাঠালবাড়ি এলাকায় প্রস্তুত হয়ে আছে সমাবেশ মঞ্চ। সমাবেশ উপভোগ করার জন্য সভাস্থল ও আশপাশের সড়কে রাখা হয়েছে বড়পর্দার ব্যবস্থা। সমাবেশস্থলে পৌঁছতে না পারলেও অনুষ্ঠান দেখা থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না।
বহুমুখী নিরাপত্তা ভেদ করে সমাবেশেস্থলে দশ লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হবে। ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখ লাখ মানুষ সমাবেশ স্থলে যোগ দিতে নৌ-পথে রওয়ানা করেছে। ফরিদপুর, রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জ থেকে লাখ লাখ মানুষ পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী এলাকা শরীয়তপুর ও সমাবেশস্থল মাদারীপুরে উপস্থিত হবে। শরীয়তপুর থেকে ৪ সংসদ সদস্য তাদের নিজ নিজ এলাকার লোকজন নিয়ে সড়ক ও নদী পথে সমাবেশ স্থলে যোগ দিবেন। ইতোমধ্যে শরীয়তপুর জেলা শহর সহ সকল উপজেলা শহর আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ব্যানার, ফেস্টুন ও রঙ্গিন বাতির ঝলকানিতে নতুন রূপে সেজেছে শরীয়তপুরের রাস্তাঘাট। রাজনৈতিক পদধারী নেতৃবৃন্দ ও সরকারি, বেসরকারীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তৈরী করেছেন তোরণ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
২৪ জুন শুক্রবার সকাল থেকে পদ্মাসেতু এলাকার আকাশে ছিল হেলিকপ্টার ও প্রশিক্ষণ বিমান। আকাশে লুটোপুটি খেয়ে বিভিন্ন রঙ্গের ধোঁয়া ছেরে পদ্মার আকাশকে করে রাখে মুখরিত। এ যেন পদ্মা পাড়ের মানুষের দেখা এক নতুন আকাশ। ছোট-বড়, শিশু-বৃদ্ধ ও নারী-পুরুষের নজর ছিল পদ্মাসেতুর আকাশে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থল ও সভাস্থল ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে আমরা তদারকি করছি। এখানে কোন ধরণের নাশকতার আশঙ্কা নেই তারপরও আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ প্রতিটি জায়গায় নজর রাখছি এ নিয়ে র্যাবের সাইবারক্রাইম টিম মাঠে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, সেতুর দুই প্রান্তে র্যাবের নিরাপত্তা, টোল প্লাজা, ফলক উন্মোচনস্থল ও সমাবেশস্থলে হেলিপ্যাড, বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড ইউনিট কাজ করবে। এছাড়া র্যাবের এয়ার উইং এর হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। সেই সাথে নৌ-পথেও কাজ করবে র্যাবের টিম। র্যাব সদস্যসহ সমাবেশ স্থলে আসা জনসাধারণের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা রেখেছি। যারা নৌ-পথে আসবে তাদেরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোন জেলার লঞ্চ কোথায় অবস্থান করবে। সভাস্থলে এসে কেউ অসুস্থ হলে তাদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার নিশ্চয়তার গুরুদায়িত্ব পালন করছেন এসএসএফ। থাকছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই। সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবে।