বোরহানউদ্দিনে সরকারি খাল দখল করে ভেরিবাদের ব্লোক ভেঙ্গে পাথর দিয়ে ঘর উত্তোলন।
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দিদার মাঝি বাজার সংলগ্ন মাদ্দর বাজার দশ আনি সরকারী খাল দখল করে বিল্ডিং ঘর উত্তোলন কাজ করছে ওই এলাকার দুলালের ছেলে লোকমান।
মেঘনায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরকারের শতকোটি টাকার ব্লোক প্রকল্পের ব্লোক ভেঙ্গে ওই পাথর সংগ্রহ করছে একটি চক্র।
ওই ব্লোক দিয়ে ঘর উত্তোলন করছেন লোকমান নামের ওই ব্যক্তি।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় ঢালাই কাজ শুরু করেন তারা তবে ঘর উত্তোলন কাজ চলমান রেখেছে এখন ও।
জানা গেছে, মেঘনা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে শত কোটি টাকার বরাদ্ধের ব্লোক ভেঙ্গে পাথর গুলো নিচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র ওই পাথর এলাকায় কম দামে বিক্রি করছে চক্রটি।
আর ওই চক্রের কাছ থেকে পাথর ক্রয় করে ঘর উত্তোলন করছে তারা।
ঘর উত্তোলন করা লোকমান জানান,সরকারি জমিতে ঘর উত্তোলন করছি। ব্লকের কাছ থেকে পাথর এনে আমাদের কাছে বিক্রি করেছে। সেই পাথর দিয়ে আমরা ঘর উত্তোলন করতেছি।
স্থানীয় মেম্বার হাবিবউল্লাহ জানান, সরকারি খালের উপর ঘর উত্তোলন করছে তবে অনেক লোক এভাবে ঘর উত্তোলন করে আছে। পাথর অবৈধ হলে সেই পাথর ব্যবহার করা হবে না।
এদিকে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন,ব্লোক ভেঙ্গে এভাবে পাথর এনে ঘরবাড়ি উত্তোলন করলে ধ্বংস হয়ে যাবে বেরিবাদ।
আর মেঘনার ভয়াবহ থাবায় বিলীন হয়ে যাবে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।
তারা মনে করেন খুব দ্রুত চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দিনের পর দিন তারা এই কাজ করেই যাবে।
স্থানীয়রা আরো জানান,কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রভাবশালী মহল লক্ষ লক্ষ টাকা চুক্তি করে এদেরকে ঘর উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়।আর ব্লক গুলো তাদের সহায়তা বিক্রি হচ্ছে।
পক্ষিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সুজাদুল্লাহ শিকদার জানান,উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি স্যার আমাকে গতকাল রাতে ঘটনাটি জানিয়েছে আমি আমার প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছি আপাদত কাজ স্থগিত রয়েছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা মুন্নী ইসলাম জানান,গতকাল শুক্রবার ২ ডিসেম্বর
রাতে খবর পেয়েছি কিছু লোক নদীতে দেওয়া ব্লোক ভেঙ্গে সরকারি খালের উপর ঘর নির্মাণ করছে এবং শুনেই আমি তসলিমদেরকে দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে
উল্লেখ্যঃ মেঘনা রিভার ইকোপার্ক এলাকায় সরকারের শতকোটি টাকার ব্লোক প্রকল্পের ব্লোক ভেঙে পাথর সংগ্রহ করছে একটি চক্র। ওই পাথর দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় কম দামে বিক্রি করে আসছে চক্রটি।
সেই পাথর দিয়ে সরকারী খালের উপর ঘর উত্তোলন করছে তারা। তবে পাথর সংগ্রহ করা চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে হুমকির মুখে রয়েছে সরকারের শতকোটি টাকার ব্লোক প্রকল্প।