আশিকুর রহমান শান্ত ভোলা প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভোলায় ইসলামী আন্দোলনের আয়োজনে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় জেলা শহরের হাট খোলা জামে মসজিদের সামনে এ বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে হাট খোলা জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলপূর্ব সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, আল আকসা মুসলমানদের পুণ্য ভূমি। এটি মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, গোটা মুসলিম উম্মাহর। আট দশক ধরে গাজা দখল করে দখলদাররা হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। ইসরাইলকে দিয়ে পশ্চিমারা পুরো মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত করে রেখেছে। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। বিক্ষোভ মিছিলটি সদর রোড হয়ে বাংলা স্কুল মোড় দিয়ে গিয়ে নতুন বাজার চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মমতাজি, সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি ওবায়েদ বিন মোস্তফা, মাওলানা মিজানুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা জেলা উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওঃ তরিকুল ইসলাম, সহ-সাধারন সম্পাদক মুফতি আব্দুল মমিন, ইসলামী আন্দোলন এর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইউসুব আদনান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ভোলা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওঃ গোলাম মোর্শেদ, ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তর শাখার প্রচার সম্পাদক মাওলানা হেলাল উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক এইচ এম ইব্রাহিম খলিল ও ছাত্রনেতা হাবিবুল সহ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, চলমান হামলা ও সহিংসতার জন্য ইসরাইল দায়ী। অবিলম্বে এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। স্বাধীন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দখলদার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়াখ্যাত ইসরাইলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।
তারা আরো বলেন, দশকের পর দশক ধরে মানবতাবিরোধী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী রাষ্ট্র ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের স্টিম রোলার চালিয়ে আসছে। এ অবস্থায় ইসরাইলের দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অহঙ্কারকে গুঁড়িয়ে দিয়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিতে নতুন ভাবে যে মিশন শুরু করেছে আমরা তার সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করছি এবং তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।
তারা বক্তব্যে আরোও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্যালেস্টাইনকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনাসহ জনগণের ওপরে ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদে প্যালেস্টাইন গর্জে উঠেছে। এটা তাদের ন্যায্য সঙ্গত সংগ্রাম। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ, ইসরাইলে মার্কিন সমরাস্ত্র প্রদান, নৌবহর প্রেরণসহ সব সহায়তা বন্ধ ও স্বাধীন প্যালেস্টাইনের দাবিতে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।