• শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ভোলায় ৯ কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা ধ্বংস করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন তজুমুদ্দিনে কোস্ট গার্ডের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বোরহানউদ্দিনে যুবদলের কমিটিতে পদ ভাগিয়ে নেয় যুবলীগ নেতা  ভোলায় তুচ্ছ ঘটনায় ভাইয়ের হামলায় সালাউদ্দিন গুরুতর আহত ফের ভোলা জেলার ১০ টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন সিরাজুল ইসলাম ভোলায় আন্তঃবিভাগীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট স্থগিত করলেন আন্দালিব পার্থ ভোলায় সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র পিতা নাজিউর রহমান মঞ্জু’র ১৭ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়া চাইলেন পার্থ ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ভালো কিছু নিয়ে আসবে: ভোলায় ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ ভোলায় জাতীয়বাদী জিয়া সৈনিক দলের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  ভোলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ ৫ সন্ত্রাসী আটক

৬ মাস পর কবরে শায়িত হলেন অভ্যুত্থানে নিহত হাসান।

NEWS ROOM / ১৭ বার ভিউ
আপডেট : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জাকির হোসেন সোহেল সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার ৬ মাস পর পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে হাসানকে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের শাহামাদার গ্রামে তাকে শায়িত করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ওইদিন বিকেলে সারা দেশে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ওই বিজয় মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান ভোলার ছেলে মো. হাসান।
দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে হাসানের লাশ শনাক্ত করেন পরিবার। এরপর ঢামেক কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে হাসানের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাচিয়া শাহামাদার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে তার ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে হাসানের বাবা-ভাইসহ স্থানীয়রা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভোলার সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
হাসান শাহামাদার মো. মনির হোসেনের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে হাসান ছিলেন মনির-গোলেনুর দম্পত্তির ২য় সন্তান। এর আগে গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে হাসানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা লাশ নিয়ে কফিন মিছিল করেন।
হাসানের বাবা মনির হোসেন জানান, দীর্ঘ ৬ মাস হাসানকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের ফরেনসিক বিভাগে আমরা একটি লাশ শনাক্ত করি। এরপর তারা আমাদের ডিএনএর নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্তপূর্বক আমাদের কাছে শুক্রবার দুপুরে হাসানের লাশ হস্তান্তর করেন।
হাসানের বড় বোন শাহনাজ বেগম জানান, আমার ভাই কী দোষ করল, তাকে প্রাণে মেরে ফেলতে হয়েছে। আমরা দীর্ঘ ৬ মাস পর ভাইয়ের লাশ পেয়েছি। আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার চাই। হাসানকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন মা গোলেনুর বেগম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। নির্বাক ছাউনিতে শেষবারের মতো হাসানকে একনজর দেখতে ভিড় করছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, হাসান ছেলে হিসেবে অনেক ভালো ছিলেন অভাব-অনটনে থাকা পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে জীবনের তাগিদে ঢাকায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেখানে গিয়েও চিরতরে হারিয়ে গেলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম এই ব্যক্তিটি। সরকার পতনের আন্দোলনে গিয়ে হাসান শহীদ হয়েছেন, সেহেতু বর্তমান সরকারের কাছে এই পরিবারের জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

এ বিষয়ে ভোলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. রাহিম তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস পরে হলেও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের সহযোদ্ধাকে ফিরে পেয়েছি। লাশ শনাক্তের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। জাতীয় শহীদের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে শহীদ পরিবারদের পাওয়া সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি যারা এখনও নিখোঁজ রয়েছে তাদের জীবিত না হলেও যেন তাদের মরদেহটি পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ

ক্যাটাগরি