মোঃ হাসনাইন আহমেদ,ভোলা প্রকাশ।।
দুমুঠো মুড়ি আর পানি দিয়ে রোজকার দিনের মতো ইফতার আয়োজন করছেন রেফা।
রান্না করার মাটির চুলায় আগুণ জ্বললেও নেই তেমন রান্নার সামগ্রী,নেই সুস্বাদু ইফতার আয়োজন । অভাব, অনটনে খেয়ে না খেয়ে এই ভাবে মানবেতর অবস্থায় জীবন পার করছেন।
সেও একটু ভালো মন্দ খেতে চায়,সরকারি সহযোগিতা চেয়েছেন রেফা।
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশ ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের কেরানী বাড়ির বাসিন্দা রেফার কথা,রেফার বয়স ৭০ বছর।
এই বয়সে মানুষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে জীবন যুদ্ধে জীবন পার করছেন। কখনো ভিক্ষার চাল পান, কখনো আবার খালি হাতেই বাড়ি ফিরেন। রেফা যে ভাঙ্গা বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িটাও নিজের নয়। পালক মেয়ের জামাই ঘরে একটু থাকার স্থান হয়েছে তার। পালক মেয়ের জামাইয়ের অবস্থাও অসহায় রেফার মতোই। জীবনের তাগিদে থাকেন ঢাকা। রেফা আগে বসবাস করতেন রামদাসপর।
নদী ভাঙার পর বর্তমানে ভোলার পশ্চিম ইলিশা ৩ নং ওয়ার্ডে কেরানী বাড়িতে পালক মেয়ের বাড়ি থাকেন।
স্থানীরা জানান,রেফা একজন অসহায় মহিলা। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করেন। কোনো রকম জীবন চালান, দিন আনে দিন খায়। তার স্বামী, সন্তান কিছু নাই। একটা পালক মেয়ে আছে। সেই মেয়েও অসহায়। জীবনের তাগিদে ঢাকায় গার্মেন্টস করেন। সেই পালক মেয়ের ভাঙ্গা বাড়িতে থাকেন।
সরকারি ও ভিত্তমানদের সহযোগিতা পেলে সেও একটু ভালো মন্দ খেত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসহায় রেফার কান্নার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে, ভিডিওটি ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল এর চোখে পড়লে তিনি ভোলা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অসহায় রেফার বাসায় গিয়ে সরকারি চাল, ডালসহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করে ।
সরকারি সহযোগিতা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ে রেফা, সাংবাদিকদের সহযোগিতায় আমি আজ সরকারি সহযোগিতা পেয়েছি তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ ।
স্থানীয়রা জানান, এই রমজানে রেফা রোজা রাখতেন পানি খেয়ে এবং ইফতার করতেন মুড়ি ও পানি দিয়ে সাংবাদিকরা রেফার নিউজ করেন তারপর সরকারি সহযোগিতা পেয়েছেন রেফা এখন পার খেয়ে রোজা রাখতে পারবেন আমরা এলাকাবাসী ধন্যবাদ জানাই প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, আমারা ভোলা প্রকাশ ও অনলাইন মাধ্যমে অসহায় রেফার এটা নিউজ দেখতে পাই পরে, জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এই ঘটনার সতর্কতা যাচাই করি সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত চেয়ারম্যান মেম্বারের মাধ্যমে আমরা যাচাই করি সততা পাই সততা পাওয়ার ,প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ত্রাণ রয়েছে আমাদের সে ত্রাণ যে একটি প্যাকেট এবং নিত্য পণ্য যে গুলো রয়েছে
আমাদের চাল ডাল পেঁয়াজ রসুন এবং সাথে আমাদের তেল এবং কিছু শুকনা খাবার চিড়া এবং কিছু শুকনা খাবার চিড়া সোলা গুড় এবং আমাদের ইফতারের জন্য বিস্কিট ট্যাং এগুলো তাকে দিয়েছি আমাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাথে তাকে নগদ কিছু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে
যাতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য মতো চলতে পারে এবং এই তাকে সামাজিক নিরাপত্তায় নিয়ে আসার জন্য আমরা সংসদ ও যারা জনপ্রতিনিধি আছে এবং তাদের মাধ্যমে আমাদের যে সরকারি যে সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো তাদের আমরা দিবে।