ভোলাবাসীকে স্বচ্ছ নিয়োগ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার পূর্ণ করেছি।
সাইফুল ইসলাম আকাশঃ
“চাকুরী নয়, সেবা” এ স্লোগান কে সামনে রেখে বাংলাদেশের কাঙ্খিত পুলিশ নিয়োগে মেধা, যোগ্যতা ও শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে ভোলায় বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে গঠিত তিন সদস্যের নিয়োগ বোর্ডের সমন্বয়ে ভোলা পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা ডিসেম্বর-২০২২ এর চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৬৮ জন প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করা হয়।
এসময় পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ এর আলোকে উন্নত দেশের পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (বিপিএম ‘বার’ পিপিএম) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নির্দেশনা মোতাবেক গতবারের ন্যায় এবারও ভোলাবাসীকে শতভাগ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়ায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ উপহার দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের কথা রেখেছি। তিনি উত্তীর্ণ সকলকে আগামী দিনে ‘চাকরি নয়, সেবা’ এই মহান ব্রতে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
এ সময় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভোলা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তিনি।
মেধা তালিকায় ৪র্থ স্থানে উত্তীর্ণ হওয়া মো. শাহাদাত ইসলাম তামিম বলেন, শতভাগ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হওয়ায় আমি ১২০ টাকায় আজকের এ অর্জনে এসেছি। আমার বাবা পুলিশ সদস্য। আমি ছোট বেলা থেকে বাবা মতো পুলিশ হবার স্বপ্ন দেখতাম। পুলিশ সুপার স্যার একটি শতভাগ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া আমি আমার মেধা কে কাজে লাগিয়ে সফলতার মুখ দেখতেছি। আমি ৬৮ জনের মধ্যে ৪র্থ স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছি।
ইমা নামের উত্তীর্ণ হওয়া এক নারী বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম দিকে পুলিশ সুপার স্যার আমাদের কে আশ্বস্ত করেছে শতভাগ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়ায় নিয়োগ সম্পন্ন হবে। ঠিক তাই হয়েছে। মাত্র ১২০ টাকা এবং আমার যোগ্যতার সুবাদে আজকে আমি উত্তীর্ণ হয়েছি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে ২১৩৬ জন অনলাইনে আবেদন করেন। এর মধ্যে PET (Physical Examination Test) এ উত্তীর্ণ হয়ে ৭০৪ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, লিখিত পরীক্ষায় ২০২ জন উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভায় অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সহ ভোলা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।