রাহাত হোসেন ভোলা প্রকাশঃ
দুমুঠো মুড়ি আর পানি দিয়ে রোজকার দিনের মতো ইফতার আয়োজন করছেন রেফা। রান্না করার মাটির চুলায় আগুণ জ্বললেও নেই তেমন রান্নার সামগ্রী,
নেই সুস্বাদু ইফতার আয়োজন । অভাব, অনটনে খেয়ে না খেয়ে এই ভাবে মানবেতর অবস্থায় জীবন পার করছেন। সেও একটু ভালো মন্দ খেতে চায়, চায় সরকারি সহযোগিতা ।
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের কেরানী বাড়ির বাসিন্দা রেফার কথা। রেফার বয়স ৭০ বছর। এই বয়সে মানুষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে জীবন যুদ্ধে জীবন পার করছেন। কখনো ভিক্ষার চাল পান, কখনো আবার খালি হাতেই বাড়ি ফিরেন। রেফা যে ভাঙ্গা বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িটাও নিজের নয়। পালক মেয়ের জামাই ঘরে একটু থাকার স্থান হয়েছে তার। পালক মেয়ের জামাইয়ের অবস্থাও অসহায় রেফার মতোই। জীবনের তাগিদে থাকেন ঢাকা। রেফা আগে বসবাস করতেন রামদাসপর। নদী ভাঙার পর বর্তমানে ভোলার পশ্চিম ইলিশা ৩ নং ওয়ার্ডে কেরানী বাড়িতে পালক মেয়ের বাড়ি থাকেন।
স্থানীরা জানান,রেফা একজন অসহায় মহিলা। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করেন। কোনো রকম জীবন চালান, দিন আনে দিন খায়। তার স্বামী, সন্তান কিছু নাই। একটা পালক মেয়ে আছে। সেই মেয়েও অসহায়। জীবনের তাগিদে ঢাকায় গার্মেন্টস করেন। সেই পালক মেয়ের ভাঙ্গা বাড়িতে থাকেন। সরকারি ও ভিত্তমানদের সহযোগিতা পেলে সেও একটু ভালো মন্দ খেত।
এমন অবস্থায় অসহায় রেফা চাচ্ছেন সরকারি সহযোগিতা। সমাজের ভিত্তমান মানুষের কাছে চান সাহায্য । সেও ভালোমন্দ খেতে চায়, তিন বেলা ভাতে ক্ষুধার জ্বালা মিটাতে চায়।