শিরোনাম
সা’দপন্থীদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিতে ভোলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা  আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম গোল্ডকাপ নাইট শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করলেন মাফরুজা সুলতানা ভোলায় বাবা-ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ কোস্টগার্ডের হাতে আটক যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০২৪ পালিত বোরহানউদ্দিনে অসহায়-দুস্থদের ঘরে কম্বল পৌছে দিলেন বিএনপির আহবায়ক মাফরোজা সুলতানা আন্দালিব রহমান পার্থ’র নেতৃত্বে আগামীর ভোলা হবে উন্নয়নের নগরী- বিজেপি দেশের কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায় ও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কৃষক দলের সৃষ্টি:মাফরুজা সুলতানা  বোরহানউদ্দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভোলায় ইটভাটা মালিক সমিতির কমিটি গঠন রাইসুল সভাপতি ও কায়েদ সম্পাদক  তজুমদ্দিনে যথাযােগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে

হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় ট্রাইব্যুনালের পূর্ণাঙ্গ রায়ঃ তারেকের আশ্বাসেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

NEWS ROOM / ৭৩ বার ভিউ
আপডেট : রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২

হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় ট্রাইব্যুনালের পূর্ণাঙ্গ রায়ঃ তারেকের আশ্বাসেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তত্কালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের আশ্বাসেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে তত্কালীন প্রশাসনের প্রশাসনিক সহায়তাও পেয়েছিল জঙ্গিরা। হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগীরা গ্রেনেড হামলার কিছুদিন আগে বনানীর হাওয়া ভবনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। তখন সেখানে উপস্থিত তত্কালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তত্কালীন মন্ত্রী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সেনা গোয়েন্দা সংস্থার তত্কালীন পরিচালক সিআইবি মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইয়ের তত্কালীন ডিজি ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুর রহিমের সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করেন। বৈঠকে তত্কালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করার সহযোগিতা চায় জঙ্গিরা। তারেক রহমান উপস্থিত সবার সামনে জঙ্গিদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আর ওই হামলার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করে তার দলকে নেতৃত্বশূন্য করা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা দুটি মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ সব বিষয় তুলে ধরেছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শাহেদ নূর উদ্দিন।

মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন, জব্দকৃত আলামত, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে রায়ে বলা হয়, গ্রেনেড হামলা চালানোর হীনউদ্দেশ্য হচ্ছে জঙ্গি সংগঠন হুজি, হিজবুল মুজাহিদীন, লস্কর-ই-তৈয়বা, তেহরেকি জেহাদী ইসলাম, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের জঙ্গি কর্মকাণ্ড এদেশে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়া; স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ধ্বংস করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। এ ছাড়া অবস্থানগত ও ক্ষমতাগত লাভের উদ্দেশেও এখানে কাজ করেছে বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়।

রায়ে বলা হয়, এ উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০২ সালের জুলাই মাসে মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেটের কাছে ও ২০০৩ সালে একই এলাকার সাত গম্বুজ মসজিদে, ২০০৪ সালের প্রথম ও আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে হাওয়া ভবনে, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর সরকারি বাসভবন ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সভা করে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো আসামিরা। এসব সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসামি বাবর, রেজ্জাকুল, রহিম, পিন্টু, তারেক, হারিছ, কায়কোবাদের কাছ থেকে জঙ্গিরা প্রশাসনিক সুবিধা নেয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকায় হামলার কাজটি করা তাদের জন্য সহজ হবে ভেবে ২০০৪ সালের প্রথম দিকে এমপি কায়কোবাদের সহযোগিতায় হাওয়া ভবনে গিয়ে তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে পরিচিত হন জঙ্গিরা।

রায়ে বলা হয়, রেজ্জাকুল ও রহিম ঘটনার দিন গ্রেনেড হামলার বিষয় অবগত থেকেও গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেন। এভাবে নীরব থেকে প্রশাসনিক সহায়তায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। শতাধিক নেতা-কর্মী, সমর্থক, আইনজীবী ও সাংবাদিক আহত হন। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

রায়ে বলা হয়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মুফতি হান্নান বলেছেন নির্বিঘ্নে গ্রেনেড হামলা চালানোর জন্য তারা প্রশাসনিক সহায়তা পেয়েছেন। আর ওই গ্রেনেড সরবরাহকারী হিসেবে আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনের নাম তত্কালীন আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরীর সময় করা তদন্তে প্রকাশ পায়। কিন্তু উনি তাজউদ্দিনকে এই মামলায় গ্রেপ্তারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। ফলে এটা স্পষ্টত যে জঙ্গিরা প্রশাসনিক সহযোগিতায় এ হামলা পরিচালনা করেন। হামলাকারীদের বিষয়ে জানা থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদের রক্ষা করতে প্রলোভন, ভয়-ভীতি দেখিয়ে অন্য লোকের উপর দায় চাপিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার লক্ষ্যে জজ মিয়া, আবুল হাশেম রানা ও শরিফুল ইসলামদের দ্বারা মিথ্যা ও বানোয়াট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ভুল রেকর্ড লিপিবদ্ধ করান। একইসঙ্গে অপরাধীদের রক্ষায় ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও গ্রেনেড সরবরাহকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিদেশে পাঠিয়ে দেন।

প্রসঙ্গত এ দুটি মামলায় গত ১০ অক্টোবর আসামি বাবর ও পিন্টুসহ ১৯ জনকে ‘ডাবল’ মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডিতদের মধ্যে অধিকাংশই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা। একই অপরাধে তারেক, হারিছসহ ১৯ জনকে ‘ডাবল’ যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। দুটি মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় গত মাসে প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনাল।

#২১আগস্ট #গ্রেনেডহামলা #21August #BNPJamaat #DarkAugust


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ

ক্যাটাগরি