নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলা প্রকাশ।।
ভোলায় জায়গা জমির জামেলা নতুন কিছু নয়, পথ পত্রিকা হাতে নিলেই দেখা যায় জমি দখলের সংবাদ। আর এই জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খেতে হয় মিথ্যা মামলা করতে হয় মারামারি খাটতে হয় জেল। এতে করে যেমন নষ্ট হয় অর্থ অন্যদিকে সময়ের অপচয়। এছাড়াও অনেকে নিজের জমি টুকু রক্ষা করতে জীবন দিতে ও পযন্ত দ্বিধা বোধ করে না। এমতাবস্থায় সরকার পতনের পর রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে অনেক। এর মধ্যে এই রকমই একটি জমি নিয়ে ভুগছেন ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী জামাল।
ভুক্তভোগী জামাল বলেন, ২০২২ সালে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ২৪ শতাংশ জমি খরিদ করে, ভোগদখল করে চাষাবাদ করে আসছেন তিনি। কিন্তু সরকার পতনের পর স্থানীয় বাসিন্দা মিলন ভূয়া রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে নিজের জমি দাবী করে জমি থেকে জোরপূর্বক ফসল কেটে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিতে গেলে লোকজন নিয়ে আমাদের কে মারধর করে, উল্টো আমাদের আসামি করে একটা মিথ্যা মামলা দেয়।
তবে জমির কাগজপত্র নিয়ে শালিসি বৈঠকে একাধিকবার বসার কথা থাকলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে মিলন বসতে রাজি হয়নি।
তবে এ ঘটনা কতটুকু সত্য তা জানতে অভিযুক্ত মিলনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তিনি কোনো মামলা করেনি, জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি তার ভাইয়ের জমি দাবী করে কাগজপত্র ঢাকায় আছে বলে দাবি করেন।
কে এই মিলন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের নাম বিক্রি করে, সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে, জমি দখল থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলা দেওয়াই কি তার কাজ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে জমিটির প্রকৃত মলিক কে, সেটা যাচাই বাছাই করা। তাইতো জমিটির স্বচ্ছ কাগজপত্র নিয়ে নিজের জমি দাবি করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জামাল।