শিশুর জ্বর ও খিচুনী
ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন
প্রভাষক, ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ।
মোবাইল নাম্বারঃ 01711002483
———————————————
জ্বর নিজে কোন রোগ নয়, অন্য রোগের উপসর্গ মাত্র শরীরে কি জ্বর তা নির্ণয় করা হয় তাপমাত্রা দেখে শরিরের তাপমাত্রা বয়স বা অবস্থাভেদে ভিন্ন হয় । জ্বরের সঙ্গে খিঁচনী অল্প বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায় ।এ ধরনের খিঁচনী সাধারণত জ্বরের প্রথম দিনে হয়ে থাকে। তবে জ্বর আসার পরের দিনও খিঁচুনী হতে পারে। ৬ মাস থেকে বয়স হতে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত অত্যধিক জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনী থাকতে পারে । জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনী সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় না । অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুকে পরীক্ষা করলে কোন না কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় ।
যেমনঃ- টনসিল,শ্বাসনালীর প্রদহ, কানের অসুখ, পেটের অসুখ ইত্যাদি।
লক্ষণ (Clinical features)
* দাঁতের সঙ্গে দাঁত লেগে যায় ।
* জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ।
* চোখ স্থির হয়ে থাকে, হাতে পায়ে খিঁচুনী হতে থাকে ।
* কারও কারও মুখে ফেনা বের হয় ।
* শিশুর ঘাড় শক্ত হয়ে যায় ।
জ্বরের বিচুনী হলে যা করতে হবে :
জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনী হলে তা কমানোর অতি সহজ উপাই হলো শিশুর দৈহিক তাপ কমান ।কারন জ্বর কমে গেলে খিঁচুনী বন্ধ হয়ে যাবে।
√ খিঁচুনী চলা অবস্থায় শিশুকে কিছু খেতে দেওয়া যাবে না ।
v ঘন ঘন শিশুর শরীর ঠান্ডা পানি দিয়ে গা স্পঞ্জ করতে হবে।
/ শিশুর দেহ ঠান্ডা পানি দিয়ে স্পঞ্জ করার সময় বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস বা হাত পাখা দিয়ে শিশুকে বাতাস করতে হবে ।
~ জ্বর কমানোর জন্য তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নিতে হবে এবং খিঁচুনী যাতে অধিক
সময় স্থায়ী না হয়, সে জন্য নিকটতম চিকিৎকের স্মরণাপন্ন হওয়া দরকার
* বার বার খিচুনী হলে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভাল