স্টাফ রিপোর্টারঃ
আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভোলা জেলার ১৭৮০টি প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ, আগামী এক বছরের মধ্যে ৬টি উপজেলায় একটি করে জয় স্মার্ট সার্ভিস ইমপ্লয়মেন্ট সেন্টার নির্মাণ, আগামী অর্থ বছরে আরো ১১০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে দুই একর জায়গায় ছয় তলা বিশিষ্ট শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
জেলা সদরের ময়লার বাগানের ১ একর ৮০ শতাংশ জায়গার ওপর ভোলা শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার এবং সদর থানায় জয় স্মার্ট সার্ভিস ইমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে এসব তথ্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে ২০ জন নারী উদ্যোক্তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার অনুদান চেক তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে স্মার্ট নাগরিকরা প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত অর্থনৈতিক মুক্তিকে সফল করতে চাইলে প্রযুক্তিকে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। চোরও এখন ৯৯৯ ব্যবহার করে সাহায্য নিচ্ছে। ডিজিটাল থেকে ফিউচার হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। ওই সময় সরকার থাকবে স্মার্ট ফোনে হাতের মুঠোয়।
পলক বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের কোনো ছুটি নাই। রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মীরাও হাসি মুখে শুক্রবারও পৌনে ১১টা পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে। সাত দিনই ৯-৫টা নয়, ভোর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করে। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারের রহস্য।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম। এছাড়াও ভোলা পৌর মেয়র মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন টুলু, জেলা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ রিয়াজুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।