সাইফুল ইসলাম আকাশ নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলা:
ভোলা ১,২,৩,৪ আসনে ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ও দেখা গেছে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকা প্রতিকের মনোনীত প্রার্থীরা কিন্ত শেষ দিনে ও দেখা মেলে নি বিভিন্ন প্রতীকের মনোনীত বাকি ১১ প্রার্থীর।
শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোলার চারটি আসনে অনেকটা নির্ভার আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। তারপরও প্রচার প্রচারণায় থেমে নেই তারা। নিজেদের বিজয় নিশ্চিতের পাশাপাশি ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে অধিক ভোটার নিশ্চিত করতে দিনরাত প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।ভোলা ১ আসনের নৌকার মনোনীত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ,ভোলা ২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলী আজম মুকুল,ভোলা ৩ আসনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন,ভোলা ৪ আসনে আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব সহ সরকার দলীয় প্রার্থীরা প্রচারণার মাঠে উত্তাপ ছড়ালেও অনেকটাই নিরুত্তাপ প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য ১১ প্রার্থী। শেষ দিনে ও প্রচারণার মাঠেই নামেননি অনেক প্রার্থী। তবে ৭ জানুয়ারি সুষ্ঠু ভোটের অপেক্ষায় আছেন সাধারণ ভোটাররা।
বিজয়ী হওয়াসহ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে নৌকার প্রচারণা তুঙ্গে।
বিজয়ী হওয়াসহ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে নৌকার প্রচারণা তুঙ্গে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভোলা-১ আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের পথসভায় ঢোল বাদ্যের সঙ্গে নেচে গেয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন সমর্থকরা। প্রিয় প্রার্থীর পক্ষে জনসমর্থন সৃষ্টিতে কোনো ক্লান্তি নেই তাদের। গত ১৮ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গ্রাম গঞ্জের প্রতিদিনের চিত্র এমন। চলছে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ।
তবে ভিন্ন চিত্র তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের শিবিরে। তোফায়েল আহমেদের প্রতিদ্বন্দ্বী অপর ২ প্রার্থী জাতীয় পার্টির মো. শাজাহান ও জাসদের মো. ছিদ্দিকের নামমাত্র প্রচার প্রচারণা
চলছে। যা ভোটারদের মাঝে সাড়া ফেলতে পারেনি। তবে দশমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ ও ভোলাকে শিল্প নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা তোফায়েল আহমেদের। সকাল বিকাল সভা করে ভোটারদের কেন্দ্র যাওয়ার আহ্বান জানান প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা।
এদিকে জাসদের প্রার্থী হিসাবে প্রথমবার নির্বাচন করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমান। হাতে গোনা কয়েকজন কর্মী নিয়ে মাঝেমধ্যে শহরে গণসংযোগ করতে দেখা গেছে তাকে। অন্যদিকে, লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর শহরে কিছু জায়গায় পোস্টার দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত গণসংযোগে দেখা যায়নি তাকে।
ভোলা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আজম মুকুল ৩য় বারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেয়ে ১৮ তারিখ থেকে প্রচারণায় নেমেছেন।
প্রতিদিন তার সমর্থকদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন,দিচ্ছেন নানা রকম প্রতিশ্রুতি ও।বৃহস্পতিবার ৪ জানুয়ারি সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,পাড়া মহল্লায় শত শত লোক নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন,বিতরণ করছেন লিফলেট ও,তিনি বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানে নদী ভাঙন রোধে ১১শ কোটি টাকার ব্লোক ও বেড়িবাধ নির্মাণ করে নদী ভাঙন রোধ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম করায় ভোটাররা তাকেই চাইছে বলে দাবি এই প্রার্থীর।উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে ভোটাররা নৌকায় মার্কায় ভোট দিবেন বলে মনে করেন আলী আজম মুকুল।
ভোটাররা ভোলা ২ আসনে আলী আজম মুকুলের বিকল্প হিসেবে কাউকেই দেখছেন না।
বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানে কংগ্রেস এর আসাদুজ্জামান,জেপির গজনবী,তরিকত ফেডারেশনের সামসুদ্দিন”প্রতীক বরাদ্দ মাঠে দেখা যায় নি কাউকেই।
ভোলা -৩ আসনে নৌকার প্রার্থী
নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবার নিয়ে চতুর্থ বার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।প্রতিদিনের আজ ও সকালে ফজরের নামাজের পর বের হয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইতে দেখা গেছে এই প্রার্থীকে,লালমোহন এর হরিগঞ্জ বাজার,লালমোহন পৌরসভা ও তজুমুদ্দিনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারনা করছেন তিনি। তার ও দাবি এবার ও নির্বাচিত হলে এলাকার চুরি-ডাকাতি,অনিয়ম সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিরোধ করে লালমোহন ও তজুমুদ্দিনের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন।
এদিকে সাধারণ ভোটার ও চাচ্ছেন এই প্রার্থীকে বলে জানা গেছে,একাধিক ভোটাররা বলেন লালমোহন ও তজুমদ্দিনে উন্নয়নে শাওনের বিকল্প কাউকে দেখছেন না তারা।
ভোলা-৪ আসনে সাবেক বন ও পরিবেশ উপ মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের পক্ষে প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে। ভোলা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.জসিমউদ্দিনকে ১৮ তারিখের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভের মাধ্যমে সরব থাকতে গেছে কিন্ত শেষ দিনে গুটি”কয়েক সমর্থক নিয়ে তিনি প্রচারনা করছেন বলে জানা গেছে।
এসব আসনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীদের মাঠে কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। মাঠের প্রচারণায় সক্রিয় না থাকলেও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে পিছিয়ে নেই এসব প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের উন্নয়ন প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হলেও সুষ্ঠু ভোটের দাবি সাধারণ মানুষের। তারা যেন কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে তেমন পরিবেশ দাবি নির্বাচন কমিশনের কাছে।
উল্লেখ্য যে ভোলার চারটি নির্বাচনী আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫২ জন। এর মধ্য নারী ভোটার ৭ লাখ ৪৬ হাজার ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৪ জন।