আশিকুর রহমান শান্ত,ভোলা প্রতিনিধি ।।
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোলা জেলা শাখার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ" শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯ টায় বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোলা জেলা কার্যালয়ের হলরুমে এই আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোলা জেলা শাখার উপ-পরিচালক আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের উপ-সচিব ও ভোলা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোলা জেলা শাখার মাস্টার ট্রেইনার মুফতি মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন কাসেমী। আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মসজিদ ভিত্তিক ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রায় শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোলা জেলা শাখার উপ-পরিচালক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। এ ভাষণ সারা দেশের মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি সবার উদ্যেশ্যে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের শেষের দুই লাইন শুনিয়ে বলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম! রক্ত যখন দিয়েছি,রক্ত আরও দিব! এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো,ইনশাআল্লাহ!
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছে। আপনারা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানেন, এক শ্রেণির লোক ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা হোক, তা চায় নাই। যারা আমলা ছিল, তৎকালীন সময়ে, তারা ইসলামিক ফাউন্ডেশন যাতে প্রতিষ্ঠা না হয়, তার জন্য পঞ্চাশ পৃষ্ঠার একটা প্রতিবেদন বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন সে সময়। আপনারা জানেন, ১৯৭৫ সালের ২৮শে মার্চ একটা আইন প্রণয়ন হয়। সেই আইনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত হয়। বঙ্গবন্ধু তাদের দেওয়া সেই রিপোর্ট পড়ে দেখলেন ও মনে মনে চিন্তা করলেন এই রিপোর্টে যদি আমি চলেও যাই, কেউ কোন দিন ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বলে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আইন প্রণয়ন করেন।
তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বেশি ভাগ কাজ বাস্তবায়ন করে থাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সুতরাং ইসলামি ফাউন্ডেশনে আমরা যে-যেই দায়িত্বে আছি। এটা কিন্তু আমাদের জন্য একটা পবিত্র আমানত। এই দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানুষকে দেওয়া হয়। যেকোনো বিষয়ের দায়িত্ব তাই যথাযথ ভাবে পালনের চেষ্টা করা উচিত। দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহ তায়ালার সামনে জবাবদিহীতা করতে হবে সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন।