ভোলা জেলা প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এর আওতাধীন ব্র্যাক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে খরকুটা দিয়ে পুড়িয়ে শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখা বন্ধ করার চেষ্টা এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানায়,১২ ডিসেম্বর রাতে হঠাৎ বিদ্যালয়ের টিনের বারান্দার পাশে খরকুটায় আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন স্কুলের নিকটবর্তী বাড়ির লোকজন পরে তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার মানুষ ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নিভেয়ে দেয় এবং বিদ্যালয়টি আগুনে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়।
এলাকাবাসী জানান,বিদ্যালয়ের পাশেই ঐদিন সকালে নিজের ক্রয়কৃত ভোগ দখলীয় ৮.৫ শতাংশ জমিতে বেড়া দেন ওই জমির মালিক রুবেল মাতাব্বর এবং জমির পূর্বের মালিক তোফায়েল হাজি তার জমির ক্রেতা রুবেল মাতাব্বরকে জমিটি বুজিয়ে দেয়।
এদিকে জমিটি কেনার পরেই ওই এলাকার একটি চক্র রুবেল মাতাব্বরকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য ষড়যন্ত্রে করে ফাসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে" ধারনা করা হচ্ছে এটি তাদেরই কাজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সম্পত্তির মালিক রুবেল মাতব্বর বলেন,আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও লাঞ্ছিত করার জন্য একটি চক্র ও উঠে পড়ে লেগেছে এমন কি! আমার পাশে একটি স্কুলে খরকুটাতে কালকে আগুন দেওয়া হয়েছে যাতে ওই আগুনের মাধ্যমে স্কুলটি পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং আমার ঘাড়ে এসে দোষ পড়ে।
রুবেল মাতাব্বর বলেন,শিক্ষাঙ্গন হল একটি জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনার অন্যতম পথ আর এই পথকে যারা ধ্বংস করতে চায় তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি
এদিকে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রুকসানা বেগম বলেন, আমি দীর্ঘ ১০ থেকে ১৫ বছর এই স্কুলে শিক্ষকতা করি এমন ঘটনা ঘটেনি।
যারা বিদ্যালয়টিকে আগুনে পুড়িয়ে বিদ্যালয় বন্ধ করতে চায় যারা আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখা-পড়া বন্ধ করে
দেয়ার চেষ্টা করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এদিকে পুরো ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্যকর পরিবেশ।
এলাকার মানুষের দাবি যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায় তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আশ্রয়েও আনা হোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন মিয়া বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি কেউ ধ্বংস করতে চাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।