রাহাত হোসেন, ভোলা প্রকাশ।
ভোলার লালমোহন উপজেলার দুর্গম চরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারকে সবার সামনে ব্যতিক্রমভাবে উপস্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম। তার এমন কর্ম এরইমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে উপজেলার সর্বমহলে।
দেখা যায়, বুধবারের প্রভাত ফেরি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সব কয়টি ব্যানারে তিনি অনলাইনের প্রতীকী শহিদ মিনারের ছবি ব্যবহার করেননি। তিনি ব্যানার ও শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহার করেছেন লালমোহনের দুর্গম চরের একটি বিদ্যালয়ের নবনির্মিত শহিদ মিনারের ছবি। ওই বিদ্যালয়টি লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের দুর্গম চর কচ্য়ুাখালীতে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের নাম ‘শহিদ আওলাদ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় যোগদানের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দুর্গম চরকচুয়াখালীর শহিদ আওলাদ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই।
তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয়রা জানান, এই চর এলাকার বিদ্যালয়টিতে কোনো শহিদ মিনার নেই। যার জন্য শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তারা কখনোই শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ পাননি। তাদের কথার ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ওই বিদ্যালয়ে একটি শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য আবেদন করি। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়টিতে একটি শহিদ মিনার নির্মাণের অনুদান পাই। এরপর ২১ শে ফেব্রুয়ারির আগেই বিদ্যালয়টিতে শহিদ মিনার নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, যার ফলে দুর্গম চরকচুয়াখালীর শহিদ আওলাদ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত শহিদ মিনারে এ বছর প্রথমবারের মতো শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নবনির্মিত শহিদ মিনারে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় মানুষজন পুষ্পস্তক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। নবনির্মিত এই শহিদ মিনারটি দেখে অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোতেও যেন শহিদ মিনার স্থাপন করা হয়, সেই লক্ষ্যে এ বছর লালমোহন উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যানারে দুর্গম চরের বিদ্যালয়টিতে নির্মিত শহিদ মিনারের ছবিটি ব্যবহার করেছি।
লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার এই ভিন্ন ধারার কার্যক্রম সর্ব মহলে প্রশংসায় ভাসছে।